
প্রকাশিত: Sat, Jan 14, 2023 3:43 PM আপডেট: Sun, May 11, 2025 3:21 AM
হিন্দু নারীর সতীত্ব
পুলক ঘটক
চট্টগ্রাম থেকে ইতি চৌধুরী (ঊরঃু ঈযড়ফিযঁৎু) লিখেছেন, ‘আমার প্রতিবেশিনির স্বামী মারা গেছে। তিনি এক কন্যা সন্তানের জননী। শ্বশুর জীবিত। এখন শ্বশুর ছেলের বউ আর নাতিনকে নিজের বাড়িতে রাখতে চাচ্ছেন না। পাড়া প্রতিবেশিরা শালিশি করেও কোন কাজ হচ্ছে না। ওই মহিলার শ্বশুর কোনভাবেই ছেলের বউকে রাখবেন না। উনি নাকি আদালতের মাধ্যমে উনার বাড়ি থেকে ছেলের বউকে বিতাড়িত করবেন। এক্ষেত্রে ভুক্তভোগীর করণীয় কি’? আমি বললাম, ভদ্রমহিলা চাইলে পার্টিশন মামলা করতে পারেন। যদি তাঁর স্বামীর নিজ নামে কোনো সম্পত্তি থাকে তাহলে তিনি ওই সম্পত্তি জীবনস্বত্ব হিসেবে পাবেন। তবে শশুর বেঁচে থাকা অবস্থায় তাঁর সম্পত্তির ভাগ চাওয়ার কোনো সুযোগ দেখছি না। যতদিন শশুর বেঁচে আছে ততদিন তাঁর আজ্ঞাবহ হয়ে দয়া নিয়ে তাঁকে বেঁচে থাকতে হবে।
শশুর মারা গেলে তিনি তাঁর স্বামীর ভাগে যতটুকু আসে ততটুকুর জন্য পার্টিশন চাইতে পারবেন। তাও জীবনস্বত্ব হিসেবে, পূর্ণস্বত্ত্ব নয়। ছেলে সন্তান না থাকায় তার অবস্থা বেশি নাজুক। ভদ্রমহিলা তাঁর স্বামীর ভাগের সম্পত্তির পার্টিশন চাইতে গেলেও ভয় আছে। কারণ তিনি ভাগ চাইলেই তার বিরুদ্ধে চরিত্রহীনতার তকমা লাগানো হতে পারে। তাঁকে অসতী প্রমাণ করতে পারলে তিনি ভরণপোষণসহ সব অধিকার হারাবেন। হিন্দু নারীদের উপর নিপীড়ন চালানোর ও বঞ্চিত করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, তাঁকে চরিত্রহীন তকমা দেওয়া। কারণ হিন্দু আইনের বিভিন্ন বিধানে ভরণপোষণ, আশ্রয়, জীবনস্বত্বে সম্পত্তি ভোগদখলের অধিকারসহ যেখানে যতটুকু সীমিত অধিকার নারীকে দেওয়া হয়েছে তাঁর সবগুলোর সঙ্গে সতীত্বের শর্ত জুড়ে দেওয়া আছে। নিজেকে সতী প্রমাণিত করতে না পারলে তিনি সংসার জীবনে কোথাও কোনো অধিকার পাবেন না। হিন্দু আইনে মামলা মোকদ্দমার সকল ক্ষেত্রে নারীকে অসতী প্রমাণ করে দিতে পারলেই তাঁর অধিকার কেড়ে নেওয়ার সুযোগ আছে। এখানে পুরুষদের সৎ ও চরিত্রবান হওয়ার প্রয়োজন নেই।
শুধু নারীকে সতী হয়ে থাকতে হবে। অসতী অভিযোগ দিতে পারে এই ভয়ে বিপন্ন হিন্দু নারীরা মামলা করারও সাহস পায় না। ইতি চৌধুরী- দাদা, এই মহিলাকে শ্বশুরই হুমকি দিচ্ছে উনার নামে মামলা করে উনাকে শ্বশুর বাড়ি থেকে তাড়াবেন। উনার স্বামীর কোন ব্যক্তিগত সম্পত্তি নাই যা আছে সব শ্বশুরের নামে। আমি- এখানে আইনি প্রতিকারের কোনো উপায় দেখছি না। নারী এসব ক্ষেত্রে একদম অসহায়। তিনি কার আশ্রয়ে যাবেন, কোথায় থাকবেন, ভিক্ষা করবেন, ধর্মান্তরিত হবেন, নাকি বাধ্য হয়ে কোনো যৌনপল্লীতে আশ্রয় নিয়ে ভিন্নজীবন যাপন করবেন এটা তাঁর ব্যাপার। তাকে বাঁচানোর জন্য আমাদের আইনের বা রাষ্ট্রের কোনো দায় নেই। এ হলো হিন্দু আইন। আমরাই সর্বোত্তম, এই সমাজের নেতা গোবি প্রামাণিকরা। লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক। ফেসবুক থেকে
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
